আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ইসলামি দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। সৌদি আরবের উদ্যোগে মুসলিম সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর সেনাদের এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ এই জোটের অংশ।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব দেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করবে দেশটি।
জাতীয় নিরাপত্তা নীতির মতো বিষয়গুলোতেও সহায়তা দেবে পাকিস্তান। সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই এ বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।
ইসলামি সামরিক জোটের ভূমিকা নিয়ে এরইমধ্যে বিস্তারিত কথা বলেছে পাকিস্তান ও সৌদি আরব। সম্প্রতি জোটকে এগিয়ে নিতে পাকিস্তানকে অনুরোধও করেছে সৌদি প্রশাসন। এখানে পাক প্রশাসনের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার সূত্র জানিয়েছে, দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। কূটনৈতিক পর্যায়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতেও কাজ করেছে পাকিস্তান। দেশটির এক্ষেত্রে তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, যেকোনো সংকটপূর্ণ সময়ে তারা পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়াবে। পবিত্র কাবা শরিফসহ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় সম্ভাব্য সব সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে পাক প্রশাসন।
ইসলামি সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা দিতে সমন্বিত একটি নীতি প্রণয়নের ব্যাপারেও একমত দুই দেশ। স্থল, নৌ ও আকাশ- সবক্ষেত্রে এই নীতি প্রণয়ন করা হবে।